Thursday, December 27, 2018

আলো যখন আত্মহারা, ছাড়ায় আকাশের সীমানা,
 তাকেই তখন সকাল বলে, শুরু হয় দিন চলা।
যখন তোমার ক্ষিপ্ত গতি,তখনই যৌবন বেলা,
দিনের শেষে ঘুমিয়ে গেলে তাকে মৃত্যু বলে না।
রাতের বেলায় চাঁদ হাসে,সে হাসি সূর্যের দেওয়া,
চন্দ্রমার চমক দেখে সুর্যকে তো কেউ ভোলে না।
#শুভম

Friday, December 7, 2018

#নতূনপৃথিবী
অনেকদিনের খোজা আজ হয়তো শেষ,
সেই দুরন্ত যুবকটা যার মনে ভয়ের ছিলোনা লেশ,
সবকিছুতেই বেপরোয়া, অনেকের ভরষা,
সব্বাই বলতো একদিন খুব বড় হবে ছেলেটা।
হঠাৎ একদিন নপুংসক দের ভিড়ে হারিয়ে গেলো,
তারপর অনেক ধূলিমাখা পথ, তেপান্তরের মাঠ, সমুদ্রেতট, গভীর অরন্যে খুজেছি,
কোথাও নেই, ঠোঁটে রঙ আর  কাজল মেখে নপুংসক দের ভিড়ের মাঝেও খুজে দেখেছি।
এদিকে অনেক ঝড়ের পর সব্যসাচী দের নিয়ম পাল্টে গেছে,
কিছু ডান, আর কিছু বাম, প্রযুক্তি উন্নত মন আরো নীচে।
রোজ রাতে বস্ত্রহীন দের গোঙ্গানি, জনপ্লাবনের আভাস,
অনেক চিন্তা নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া, ঘুম না আসার পূর্বাভাস।
আজ অংগীকার ভেংগে আয়নার সাথে কথা বলার প্রয়াস,
তখন ঠিক আমার সামনে তার আত্মপ্রকাশ।
আমি জানতাম ওকে একদিন খুজে পাবো আবার চেষ্টা করে দেখবো,
নপুংসকরা বদলাবে না আমি ওকে নিয়ে নতূন পৃথিবী গড়বো।।
#শুভম

Tuesday, December 4, 2018

"এ আলো আমার চাই না"
রাজগৃহে ঘিয়ের বাতি, উজ্জ্বল প্রতিটি কক্ষ,
তবুও রাজার মন ভরে না, মেজাজ বড়ই রুক্ষ।
শয়ন কক্ষের দখিন দিশার কপাট খানি খুলে,
বিনিদ্র রজনী দাড়ায়ে আছেন রাজা উদাসমনে।
দেখিছে রাজা, কাঠুরির ঘরে অপূর্ব আলো জ্বলে,
বিচলিত রাজা ঘোড়ায় চাপিয়া কাঠুরির ঘরে চলে।
দেখিলেন গিয়া সেথায় ঠাই পেতেছে জোনাকিরা দলে দলে,
কুড়ে ঘরে প্রকৃতির আলো, টিম টিম করে জ্বলে।
পেয়াদা ডাকিয়া বলিলেন রাজা স্বচ্ছ পাত্রে করো বন্দি,
রাজপ্রাসাদ ছাড়িয়া কুড়েঘরের সাথে কেনো করিবে সন্ধি।
তখনই হঠাৎ নিদ্রা ত্যাগিয়া কাঠুরির সপ্তাদশী কন্যা,
তাকিয়া দেখিল ভয়াতুর পিতা,মনে মনে শুনিল জোনাকির কান্না।
সামনে আসিয়া নির্ভিক চিত্তে করিল রাজাকে প্রনাম,
হাসিয়া বলিল বালিকা রাজারে অযথা কেনো হয়রান,
জোনাকিরা সবাই যাইবে রাজগৃহে থাকিবে বড়ই ভালো,
তবে সেথায় যদি না জ্বলে কোনোদিন ঘিয়ের আলো।
ঘিয়ের বাতি চোখ ঝলসায় তাইতো কুটিরে আসে,
স্বচ্ছ পাত্রে বন্দি করিলে অতি অল্পক্ষণই বঁাচে।
রাজা বলিলেন তবে যদি আমি প্রতিটি প্রজার ঘরে,
ঘিয়ের বাতি জ্বালাইয়া দেই প্রতিটি রাত্রিতে,
তবে কি জোনাকি বাসা বাধিবে রাজমহলের প্রতি গৃহে,
কাঠুরির কন্যা বলিল রাজন, তবে হবে অর্থের অপচয়।
বলিলেন রাজন, বড়ই মন্দা, পূরন হয় না রানীর বায়না,
জোনাকিরা সব এখানেই থাক, এ আলো আমার চাই না।।
#শুভম

Monday, November 5, 2018

"বর্বর"
ভারতবাসী তোরাও তাই গুলি করিনা তোদের বুকে,
তোরা কিন্তূ চালাস গুলি অতর্কিতে মাঝরাতে।
অসম,অসম চেল্লাস তোরা নিয়ে বন্দুক ছোরা,
ইতিহাসে লেখা, এই আকাশে উড়তো বাংলার পতাকা।
বড়াই করিস কিসের তোরা কিবা তোদের আছে,
সুধাকন্ঠকে স্বীকৃতি দিল এই বাংলার লোকে।
আমাদের দেখে হলি সভ্য,ছিলিস ত বর্বর,
তোরাই এখন বলিস আমরা যাযাবর।
মাঝরাতে অসহায় যুবতীকে নগ্ন করে ছাড়িস,
ভাষার নামে আলফা হয়ে নিরীহদের মারিস।
টেক্কা দিবি আয় সামনে হোক প্রতিযোগিতা,
দেখবে বিশ্ব কার বেশি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি,সভ্যতা।
আঘাত হানলে একঘরে হবি, হবে স্বপ্নভঙ্গ,
মনে রাখিস প্রতিবেশী তোদের ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ।
#শুভম
"আরো রক্ত চাই"
কতো নিবি, বুক চিতিয়ে আছি দাঁড়িয়ে,
নিতে চাস, আরো বেশি করে নে।
দিবো রক্ত ছিটিয়ে, তোদের সম্মুখে রাজপথে,
কর উন্মাদ নৃত্য রক্ত পিচ্ছিল পথে।
তবে শুনে রাখ, রক্ত সবার আছে,
তোর হাতে শানিত অসি যদি আমার অঙ্গ কাটে,
আমার হাতের তীক্ষ্ণ ছুরি বিধবে তোর বুকে।
জাতীয়তাবাদের দোহাই দিস আমার লিপি নিয়ে,
কতো চাই নিরীহ প্রান, দেবো সম্মুখ সমরে।
এই ত সেদিন এগারোটি তাজা প্রান, যাদের রক্ত করেছিলি পান,
আজ আবার শংকর,মাধব,লাচিতের গৌরব করলি ম্লান।
বাঙ্গালী মোরা আসামী হয়েছি, কাঠগড়ার ভয় নাই,
বাঁচার লড়াই লড়বো মোদের আরো রক্ত চাই।।
#শুভম।

Saturday, October 27, 2018

"বৃদ্ধাশ্রম অনেক ভালো"
চোখে কম দেখি আমি কানে কম শুনি,
শরীর দেয় না সঙ্গ হয়েছি যে বুড়ি।
অট্টালিকায় থাকি আমি চিলেকোঠার পাশে,
আমার সাথে পুষি আর ডগি টাও থাকে।
ষোলো দিন হলো আজ খোকা নেই বাড়ি,
আছি বড় সুখে আমি খেয়ে জল,বাতাসা,মুড়ি।
বৌমা থাকলে বার বার করতো বকাঝকা,
নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে দেখতাম মোবাইলে ব্যাস্ত খোকা।
ছুটি পেয়েছে খোকা আমার তিনমাস পর,
বৌমার তাই শখ হয়েছে যাবে ঘুরতে শ্রীনগর।
যেমনি বলা তেমনি শুরু হয়ে গেলো পেকিং,
শুনলাম নাকি বৌমা আমার করবে গিয়ে ট্রেকিং।
যাবার বেলায় মুড়ি,বাতাসা দিয়ে গেছে টিন ভরে,
ডগির তো "পুরিনা প্রো" খেয়ে দিব্যি পেট ভরে।
পুষি সে তো আমারই সাথে মুড়ি খেয়েই চলে,
ঝা চকচকে ঘরের মাঝে মিছেই ইদুর খোজে।
দশদিন হলো আক্যুয়াগার্ডের জল হয়েছে খালি,
বড় উঁচু তে লাগানো ওটা কি করে জল ডালি।
হাজার লিটারের ড্রাম ছাদে জলে আছে ভরা,
বেসিনের কলের জল দিয়ে ভরে রেখেছি ঘড়া।
বয়স আমাকে নুইয়ে দিয়েছে হতে পারিনা সোজা,
জানালা দিয়ে দেখা যায়না বদলে যাওয়া পাড়া।
আজ ভাবছি বৌমার কথা মানলেই ভালো হতো,
আমার খোকার অট্টালিকার চেয়ে বৃদ্ধাশ্রম অনেক ভালো।
#শুভম

Thursday, October 18, 2018

#মাআসছেন
আমি মহা শূন্যের করি আরাধনা,
শূন্যতা কে জমাট করিয়া করি প্রতিমার রচনা।
আমি ষষ্ঠী তিথিতে বৃক্ষ, বারি, ফসলের পুজা করি,
প্রকৃতি ধারন করিয়াছে রূপ দশ প্রহরণ ধারিনী।
#শুভম
"পরাধীনতা"
সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, প্রাচীন সভ্যতা, খন্ডিত সুবর্ণভূমি, জাত বিচারের নগ্নতা।
কুসংস্কার, কুপ্রথা, তবু বড় অভিমান, নির্ধনের চোখে জল,ধনবানের জয়গান।
মাথা খুটে মরে হেতা নির্বল, নিষ্পাপ, বলশালী, ব্যভিচারী করছে যে বাজীমাৎ।
ছিল বেদ,তবু ভেদ কেন তা কি কেউ জানেনা,
দেশাচারের অজ্ঞতা দিলো ন-শ বছরের পরাধীনতা।
#শুভম
রাত্রির আকাশে চন্দ্রমা,
চমক তোমার মুখে।
সজল চোখে শীতল ধারা,
শান্তি অঙ্গ জুড়ে।
#Subham
সিথিতে তোমার সিদুর, আমার শিরায় উপশিরায়,
তোমার জঠরে সৃষ্টি তাই লাল রক্ত আমার।

অশান্ত মনের নিবিড় কোনে তোমায় রাখি স্ব যতনে,
আমার চিন্তাশক্তি যেথায় লোপ, সেথায় হয় গো তোমার বোধ।
তুমি সবই বুঝতে পারো হৃদয়ের ডাক শুনতে পারো,
তবু তুমি নির্বাক হয়ে এমন শান্ত থাকতে পারো।
#শুভম
আমার শরীরে আর মনে তোমার দখলদারী,
জিততে পারি অনায়াসে তবু ইচ্ছে করেই হারি।
যাহার কথায় কবিতা, নয়নে নৃত্য হরিয়াছে যে আমার চিত্ত,
মুছিয়া দিও কোমল হাতে আমার নয়ন দুটি অশ্রুসিক্ত।
#শুভম।
চলার পথে কপট নয়, করিব সত্যের অনুসরণ,
সংস্কার যাহা পাইয়াছি তাহাই অবলম্বন।
আশা আর আকাক্ষার ভেদিয়া স্বপ্নময় জাল,
পদাঘাতে চূর্ণ করিয়া মিথ্যা অহংকার,
বড় কঠিন জীবনযাত্রা বড় বেদনাময়,
যতই আসুক ঝঞ্জা ঝাপট থাকবো অটল।
অমানিশা রাত, তবুও চলেছি হাতে নেই লন্ঠন,
এ রাত প্রকৃতির নয়, আমি নিজেই করেছি নিমন্ত্রণ।
#শুভম

Saturday, September 22, 2018

"ঠিকানা"
জীবনের সব পাওনা গুলো,
পাওয়া হয়নি এখনো।
বেচে থাকবো পণ করেছি,
পাওনা গুলো পাওয়া অবদি।
করিনা মৃত্যুকে ভয়,
হবই সফল নাই সংশয়।
গান আমি গাই প্রানভরে,
লিখি কবিতা খাতা ভরে।
কখনো বা কোনো পাতায়,
আমার গানে কবিতায়,
স্ব ইচ্ছায়,অনিচ্ছায়,
সুখেতে কিবা যাতনায়,
অজান্তে, অনায়াসে,
কলমে নাম তোমার আসে।
আমায় দেওয়া তোমার ভাষন,
অযথা করে আমায় শাসন।
বলতে তুমি ঠিকই প্রিয়া,
বড্ড বোকা আমার হিয়া।
আমি না হয় বোকা ছেলে,
তুমি পারতে চালাক হতে।
তুমিও সেই আমারই মতো,
নইলে কি বিরহ ভুগতে হতো?
তারপরও আমি বলছি,
সবকিছু ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছি।
তুমি মৌনতা ভাঙ্গো চলা বন্ধ করো না,
তোমার গন্তব্য আমার ঠিকানা।।
#শুভম

Monday, September 17, 2018

"অজাতশত্রু"
 সবাই বলছে থমকে গেছো চলা হয়েছে বন্ধ,
স্তব্ধ হয়েছেন প্রিয়জনেরা, তোমার অচল হৃদপিণ্ড।
আমি বলছি এতো আবার নতূন করে চলা,
এখন তোমার পথ প্রসস্থ সব সীমানাই খোলা।
তুমি সবার হৃদয় মাঝে থাকবে প্রিয় হয়ে,
শ্রদ্ধায় হবে মাথা নত তোমার নাম শুনে।
তোমার কবিতার তেজবাক্যে জাগবে নতূন জীবন।
তোমার রচনা কি করে হরন করবে তুচ্ছ মরন।
দিয়ে গেছ তুমি জীবন চলার অমূল্য উদাহরণ,
তোমার দিশায় চলবে এখন ভারতের যুবক গন।
তোমার জন্মবধি নেইকো শত্রু সবাই আপন জন,
অজাতশত্রু নাম দিয়েছে তোমার মতের বিরোধী গন।
#Subham 

Saturday, September 15, 2018

"রাষ্ট্রনেতা"
বীর বিক্রম,প্রতাপশালী সৌম্য কান্তিবর,
নির্ভিক চিত্তে নিশ্চয় যার অটল ওনড়।
জীবন ভর কতো সংগ্রাম তোমার লেখনীতে স্পষ্ট,
সাহিত্যতে দক্ষ তুমি বুঝতে সবার কষ্ট।
পোখরানে পরমাণু বলো কারগিলে মহারণ,
দিলে সফল পরীক্ষণ দিলে গৌরবের বিজয়।
বাগ্মী তুমি কবি খ্যাতিমান মহান রাষ্ট্রনেতা,
তোমারই জন্য শ্রেষ্টাসনে বিরাজিত ভারতমাতা।
তোমার সামনে সবাই নত হোক চীন বা আমেরিকা,
ছিল বড়ই সাধারন জীবন যাপন ছিল না কোনো বিলাসিতা।
তোমার বাণী ধ্রুবসত্য তা প্রমানিত সবার কাছে,
কাল যাহারা করেছিল বিদ্রুপ তাদের নিয়ে আজ সবাই হাসে।
তোমার কবিতার মাঝে খুজে পাই ভারতের ইতিহাস,
লিখেছ অনেক অজানা কথা লিখেছ অনায়াস।
ভারতমালা,মহাসড়ক,সর্বশিক্ষা অভিযান,
তোমার কর্মে অমর তুমি ওহে কীর্তিমান।
আজ শব্দ হারিয়ে গেছে হচ্ছে দুচোখ সিক্ত,
আজ দেশমাতৃকার কোল সত্যিকারের রিক্ত।।
                         "শুভম"
"বই"
কঁাপা কঁাপা হাতে লেখা হল শুরু,আমি একা আছেন একাধিক গুরু।
সময়ে সুযোগে লেখা কলম চলে না, কলম যদি চলে তাতে আগুন জ্বলে না।
কলমের দেখো তেজ আগুন ঝরিছে, কাগজের দেখো গুণ আগুন সহিছে।
সাগরের গর্জন কিবা কোনো মহারণে, অনায়াসে শান্ত কাগজের আবরণে।
মনে আছে হিরোসিমা নাগাসিকা, পলাশীর যুদ্ধ, বইয়ের মাঝে সব আছে শান্ত।
দেখোনি রবি ঠাকুর,নজরুল,সুকান্ত, বইয়ের প্রতিটি পাতায় আজও উনারা জীবিত।
সব জানা অজানা হবে সব জ্ঞান আহরণ, মন দিয়ে বিষয়ক বই করো অধ্যয়ন।।
        "শুভম"
"কাব্যলক্ষ্মী"
আজ গাইবো আমি গান, ভাঙ্গবে তোমার অভিমান।
দুরন্ত তুমি নির্বাক আমি, যতই দেখি ততই হই হতবাক।
আজ আকাশ জুড়ে মেঘ, ম্লান পুর্ণিমার চাঁদ,
তোমার চোখের জলে মুছে গেছে সকল অবসাদ।
অনায়াস মন শুনে অনুক্ষণ মেঘের গর্জন,
তোমা পানে চাই বুঝিতে না পাই কেনো করিতে পারি নাই তোমাকে অর্জন।
তুমি প্রেমিকা নয়, বিলাসিতা নয়, তুমি আমার কাব্যলক্ষ্মী,
চেষ্টা অনেক করেছি আমি অনেকেই আছে সাক্ষী।
গুনগুন করে গান গেয়ে করি আমি তোমার রচনা।
আসো তুমি আরো পরিনিত হয়ে এটাই আমার যাচনা।
কলমের কালি ফুরিয়ে না যাক হোকনা গান বন্ধ,
বড় ভিত আমি বড় জোরে হাকে আমার হৃদপিণ্ড।
স্থির নই আমি, আবার যদি ক্ষমতা দেয় হাতছানি,
আবার যদি তোমায় ভুলে চড়ি ক্ষমতার গাড়ি।
তাইতো বলছি তোমার কাছেই আমি আছি বড় সুখে,
তুমি এসো বার বার আমার কলমে আর কাগজে।
চাইনা আমার মিথ্যে ক্ষমতা, চাইনা বিপাক ঝক্কি,
আমি শুধু চাই তোমায় ওগো আমার কাব্যলক্ষ্মী।।
                           "শুভম"

Tuesday, August 14, 2018

                   "আগের মতই আছো"
আজ তোমায় পেয়েছি প্রিয়া বড় অপন করে, তোমার নামে নামাংকিত হৃদয় পত্র জুড়ে।
তোমার হিয়া বুঝি আমার জন্য বড় ব্যাকুল হয়,
আজও বুঝি তোমার পোষা কাকাতুয়া আমার কথা কয়।
হয়তো কখনও অমানিশা রাতে দাড়াও জানালার পাশে,
আসিবে না প্রিয়তম তবুও কেনো দাড়াও মিথ্যা কল্পনার আশে।
তোমায় বলছি, আজও কি সকালে পড়েছিলে হলুদরঙা শাড়ি,
ঠাকুরঘরের কোনায় রোজ জ্বালাও ঘিয়ের বাতি? মনে আছে শিউলি ফুল কুড়োতে যেতাম একসাথে,
তুমি কি সেই আগের মতই আছো শশুরবাড়িতে।
                       "শুভম"

                      "স্বাধীনতা"
পেয়েছি বাক্যের স্বাধীনতা, পেয়েছি শৃঙ্খলমুক্ত আমেজতা,
পেয়েছি স্বাধীনতা অবাধ বিচরনের,পেয়েছি বেলাগাম উল্লাসতা।
পেয়েছি রাষ্ট বিরোধী স্লোগানের স্বাধীনতা,পেয়েছি দ্বিখন্ডিত ভারতমাতা,
পেয়েছি ধর্মের নামে বিভাজিত তবু সর্বধর্ম সমভাব নিরপেক্ষ আবদ্ধতা।
পেয়েছি গান্ধী,নেহেরু হারিয়ে ভগৎ সিং,সুভাষ বসু,
পেয়েছি সহস্র মায়ের বিলাপ পেয়েছি কাশ্মীর ইস্যু।
পেয়েছি জাতীয় ধ্বজ যাতে অস্পষ্ট বিপ্লবীদের রক্তের ছোপ,
পেয়েছি স্বাধীনতা, করি উদযাপন বলে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন হয়নি লোপ।
                             "শুভম"

Sunday, August 12, 2018

"আপনজন"
কলম হাতে চলিয়াছি আমি অজানাকে জানিতে,
ভালো কিছু লিখিব না হয় বিপ্লব পারিব আনিতে।
এই পৃথিবী যদি মা হয় আমার তবে সবাই আপনজন,
মানুষের মতই সকল জীবকে করিব আলিঙ্গন।
                          "শুভম"
                           "নেশা'
নেশা তোমার চোখে সখি, নয়ন জুড়ে মদিরা ভাসে,
নেশা আমি করবো সখি তোমার চোখে চোখ রেখে।
নেশা তোমার রুপে সখি যে নেশা আগুন জ্বালায়,
নেশা সে তো মিটবে না গো, থাকবো দু বাহু জড়ায়।
নেশা সে ত মধুর নেশা তোমায় করি আলিঙ্গন,
নেশার কি যে মহিমা, আমি সব দিয়েছি বিসর্জন।
                            " শুভম"

Wednesday, August 1, 2018

"প্রকৃতি"
আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে নিকেশ করো অন্ধকার,
হে দয়াময় তোমার জগৎ তুমিই করো পরিত্রাণ ।
বড় কোলাহল, মন্দিরে নয়, আমার নির্জনতায়,
তোমায় তপ করিতেছি আমি মনের সরলতায়।
চক্ষু মুদিয়া করিব ধ্যান নাহি মোর এমন একাগ্রতা,
তাই ত প্রভু তোমায় পূজিতে চাই মোর নিরবতা ।
প্রতিমা ত নাই, পূজিব কাহারে, দিব কাহারে ফুল মা'লা,
পূজার বিধি জানিনা আমি, নাই পূজার ডালা।
উপরে গগন, মেঘের রাশি, বায়ু আছে বিত্যমান,
নীচে ধরিত্রী, জলধারা,বৃক্ষ সবেতেই তোমার অধিষ্ঠান।
তোমাতেই সব আছে প্রভু তুমি সব আকৃতির,
তাই ত আমি খোলা আকাশে পূজা করি প্রকৃতির।।
                          "শুভম"

Saturday, July 28, 2018

(আমার লেখা "অজ্ঞাতবাস" গল্পের একাংশ) "শৈশবের কল্পনা"
 আকাশের বুক চিরে যারা অনবরত উড়ে যায় ওরা কে, কোথায় ওদের ঠিকানা?
পাখী নয় গো পাখী ত অনবরত আকাশে উড়ে না, পাখী ত মাটিতে ফিরে আসে সেই পাখী হয়ে, কিন্তু সে ত শুভ্রবেশ থেকে স্বচ্ছবেশ ধারণ  করে লুটিয়ে পড়ে তপ্ত ধরিত্রীর বুকে আর নিমেষের মধ্যে নিজেকে চুর্ণ বিচুর্ণ করে ছড়িয়ে দিয়ে শান্ত করে দেয় সবকিছু,
ছোটোবেলা ভাবতাম শিমুল গাছের সব তুলো গুলো বাতাসে উড়ে চলে যায় আকাশে, আর মেঘ হয়ে উড়তে থাকে,
কতোবার যে শিমুলের তুলো কুড়িয়ে নিংড়ে দেখেছি কিন্তু কই, এক ফোটাও জল ত বের হয়নি,
অবশেষে অনেক মাথা খাটিয়ে বের করলাম, তুলো গুলো আকাশে ভাসতে ভাসতে রোদে ঘেমে যায় তাই বৃষ্টি হয়। (সেইদিন গুলোই ভালো ছিল, অবাস্তব কল্পনা, তবু ভালো লাগতো।)
                         "শুভম"

"অবক্ষয়"
নিঝুম রাতের স্তব্ধতার মাঝে মোচড় দিয়ে ওঠে আমার সবজান্তা দেহ,
নিদ্রাহীন রাতে কপাট খুলে বেরিয়েছে আমার বেপরোয়া মন।
রোজদিনের মত আজও কালো শাড়ি পড়েছো অসংখ্য চুমকি লাগানো,
যতবার অহং জাগে ততবার আমি তোমার বিশালতা দেখে হই নিয়ন্ত্রিত।
হৃদয়ের দ্বারপাল কটাক্ষ করে আওয়াজ দেয়,
মুক্ত হও, পরিপুর্ণ হও, আবদ্ধতা জীবন নয়।
মাথার শয়তান মোচড় দেয়,আবার বশ করে নেয়,
টানাপোড়েনের মাঝে শুধুই আমার সময়ের অবক্ষয়।
                           "শুভম"

"ব্যাতিক্রমী রাজা"
কতো রাজা এলেন গেলেন কতো যুগ হলো অতিক্রম,
এবারের রাজা প্রধান সেবক, এবারের রাজা ব্যাতিক্রম।
মুকুট পরেছেন সংস্কৃতির আর পোশাক তার সভ্যতার,
রাজার সভায় লক্ষ লোকের সমাবেশ, করছে সবাই জয়জয়কার ।
রাজা বসে মঞ্চে তবু খেয়াল আছে সবদিকে,
বর্ষার দিন ধসলো মাটি, সামিয়ানা পড়লো ভেঙ্গে।
সতর্ক রাজা করেছিলেন কিন্তু প্রজা আত্মহারা,
রাজার দেখা পাবে বলে সবাই পুরো দিশাহারা ।
আহত হয়েছে পঁচিশ জন উৎসাহ তবু কমেনি,
চিকিৎসালয়ে যেতে যেতে ভারতমাতার জয় দিতে ভুলেননি ।
সভা শেষে  ফিরছে সবাই নিজ নিজ আলয়ে,
আহতদের খোজ নিতে রাজাবাবু তখন চিকিৎসালয়ে।
ক্রটি যেনো না হয় কারো রাজা বলেন দাঁড়িয়ে,
খোজ নিলেন সবার তিনি মাথায় হাত বুলিয়ে।
অবাক সবাই করছে চর্চা আগে ত এমন হয়নি,
ভাঙ্গলো কতো সামিয়ানা কেউ ত খবর রাখেনি ।
নিন্দুকেরা যে যা বলুক আমায় বলুক রাজার চামচা,
এবারের রাজার জয়গানই আমার রোজনামচা।।
                            "শুভম"

"আত্মশুদ্ধি"
পাওনা কখনো বায়না হয় না,
সবসময় বায়না হয় না পাওনা।
বায়না পাওনার ঘোরপেঁচে সমাজের কিছুই হয়না।
রৌদ্র প্রখর তপ্ত পথ তবুও চলছে জয়রথ,
রথের রজ্জু টানলেই আত্মশুদ্ধি হয়না।
যতই সাজো মহান তুমি হৃদয়ে যদি কালিমা থাকে,
চেহারার চমক দিয়ে জগৎ আলো করা যায় না।
যদি চাও সিংহাসন, করো তবে আত্মসংযম,
চুপিসারে ছল করে রাজা হওয়া যায় না।
                       "শুভম"

"আবার ভুল"
আবার ছোয়া লেগেছে নতুন করে,
নব জীবনের উচ্ছাস বাধভাঙ্গা বেপরোয়া ।
আমি সেই উৎসাহে আবার কিশোরমনা,
আবার সেই রাতজাগা চোখে স্বপ্ন রাশি রাশি।
গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় চাঁদ কে দেখে হাসি,
চোখের নিচে কালি আমার টেনশন নয় বেশ খুশি আছি।
আজ কিনেছি মাটির পুতুল রথের মেলায় শখ করে,
ছিলাম আনমনা বেশ ছিলাম বিপদ হলো পাশ ফিরে।
জানি আবার হবে শুরু একরাশ প্রতিশ্রুতি খেয়ালের অভিনয়,
সবজানি, জ্ঞানপাপী তবু আবার একবার ভুল করতে ইচ্ছে হয়।।
                             "শুভম"

"বানের জল"
প্লাবিত হয়েছে গ্রাম নগর প্রকৃতির রোষানোলে,
ভিত চিত্ত গৃহহারা বানভাসিদের পেটে ক্ষুদার আগুন জ্বলে।
দিনমজুর,কৃষকদের মাথায় পড়েছে বিষম বাজ,
আউশ ধান তলিয়ে গেছে সারাটা বছর সর্বনাশ।
রথীশের মেয়ের আড়াই বছর সাঁতার হয়নি শেখা,
মায়ের সাথে বসে আছে খাটে দুদিন ধরে মেয়েটা,
রাতের বেলায় ভাত খেয়েছিল মায়ের সাথে মেঝেতে বসে,
সকালবেলা মেঝে ত নেই তাই খাটেই বসে আছে।
রথীশ এসেছে আজ বিকেলবেলা হোজাই থেকে,
নৌকো ত নেই ঝাপ দিল জলে কিন্ত প্রকৃতি বাধ সাধে,
উৎকন্ঠা ভরা অশান্ত মন হাত পা চালায় প্রবল বেগে,
সে কি লড়াই তুমুল যুদ্ধ বানের জল আর চোখের জলে,
অবশেষে জয়ী পিতা প্রকৃতিকে হারিয়ে,
আর যাবেনা রথীশ বলছে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে।
                       "শুভম"c

Sunday, July 1, 2018

Subham chakraborty:                        "বীর"বীর কাহারে কয়?সেই কি...

Subham chakraborty:                        "বীর"
বীর কাহারে কয়?
সেই কি...
:                        "বীর" বীর কাহারে কয়? সেই কি বীর যে সাম্রাজ্য করিয়াছে জয়? বীর তাহারে কয়, শতশত নরনারীর যে হৃদয় করিয়াছে জ...
"লালসা"
টিনের জগতে পা রেখেছে মেয়েটা, বারো পেরিয়ে তেরো হলো এবার,
পাড়ার মোড়ে বখাটে ছেলেদের আড্ডা, তাইতো ভয় বাবার।
আজকের নয় কথা গুলো কয়েক বছর আগের,
এখন ভয়ে বুক কাঁপে শিশু কন্যার বাপের।
মেয়ে দেখলেই লালসা জাগে শিশু হোক বা বুড়ি,
লালসা মিটিয়েও ক্ষান্ত নয়, তারপরেও গলায় বসায় ছুরি।
                             "শুভম"

Thursday, June 28, 2018

                       "বীর"
বীর কাহারে কয়?
সেই কি বীর যে সাম্রাজ্য করিয়াছে জয়?
বীর তাহারে কয়,
শত সহস্র নরনারীর যে হৃদয় করিয়াছে জয়।
বীর সে নয়,
লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অত্যাচারে লিপ্ত যে হয়।
বীর সেই হয়,
অত্যাচারীকে বধ করিয়া যে নারীকে করিয়াছে নির্ভয়।
বীর সবাই নয়,
অত্যাচারে অতিষ্ট সমাজেই তার জন্ম হয়।
বীর বড়ই দয়ালু হয়,
বীর কোনো দেবদুত নয়, সাধারণ জন হয়।
দুধর্ষ কোনো লড়াকু বীর নয়,
রাষ্ট্র ভক্তি অটুট যাহার সেই ত বীর হয়।
পরাধীন ভুমি একা তলোয়ার তুলি,গড়িয়া সৈন্যদল
মহারণে তেজিয়ান, কৌশলে যার করায়ত্ত বিজয়।
ধর্মানুরাগী, ন্যায়বৎসল, কীর্তি যাহার অক্ষয়,
হিন্দু হৃদয় সম্রাট বীর শিবাজীর জয়।।
                       "শুভম"

                   "বলিদান"
বঙ্গভুমি ভারতভূমি আছে আজো একসাথে,
অসমবাসী লিপি পেলো কোন বিধাতার আশীর্বাদে।
প্রয়াস কার ছিল, কে করেছিল সংগ্রাম,
কিসের জন্য বিশ্বজুড়ে আজ ভারতের জয়গান।
তিনশ সত্তর হঠাও বলে আজ সবাই দিচ্ছে নারা,
ষাট বছর রাখলাম পুষে দেশের ক্ষতি করলো যারা।
প্রথম বিরোধ কার ছিল কাশ্মীর নিতি নিয়ে,
কতজন জানে কে সে ছিল ভারত মায়ের ছেলে।
সেদিন যদি পুরো দেশবাসী করে দিত বিদ্রোহ,
তবে এতদিন সহস্র মায়ের কোল খালি না হতো।
সেদিন কিন্তু ভারত কেশরী বীরপুরুষের মতো,
একা লড়াই করেছিলেন করেননি মাথা নত।
বাংলার বাঘের পুত্র তিনি প্রতিজ্ঞায় অটল,
ক্ষমতালোভীরা নির্মমভাবে তাকে করেছিল কোতল।
লক্ষ লক্ষ দেশবাসী করেছিল চোখের জলে বিদায়,
শুনেছি নাকি সেদিনের কথা আজো অটলজি কে কাঁদায়।
বিদায় বেলায় ভারত কেশরী গিয়েছিলেন যে অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে,
আজ সেই শিখা সবচেয়ে দীপ্ত বিশ্বের দরবারে।
শক্ত হাতে ধরেছেন নরেন্দ্র উনার জ্বালানো শিখা,
স্বপ্নগুলো সত্য হবেই, বলিদান যাবেনা বৃথা।
আপনি আমাদের অহংকার আমাদের অভিমান,
বিশ্ববাসী রাখবে মনে আপনার মহৎ বলিদান।
                            "শুভম"
               "কলমওয়ালা রাজকুমার"
সামনের দিকে একটু ঝুকে হাত দুটি পেছনে রেখে,
ধুসর রঙের জোব্বা গায়ে সপ্রতিভ চোখ মেলে দেখছেন কি আমার পানে!
মুখ ডাকা দাড়ি গোফে, দীর্ঘদেহী দাঁড়িয়ে আছেন হলঘরের ফোটোফ্রেমে,
কেউ বলে রবি ঠাকুর কেউ বলে গুরুদেব, মা বলেন জোড়াসাকোর কলমওয়ালা রাজকুমার,
তুমি নোবেল জয়ী বিশ্বকবি,তুমি ভারতবাসীর অহংকার।
তোমার রচনা তোমার কবিতা,গল্প,গান আর উপন্যাস, তোমার কলমের তীক্ষ্ণ ধার যেনো বিপ্লবীদের তলোয়ার।
তোমাকে জানার অনেক বাকি জানলে হব ডিগ্রিধারী।
কবিতা নয় জন্মদিনে হে মহামানব তোমায় আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।
                             "শুভম"

                      "অবহেলিত"
জীর্ণ শীর্ণ কায়া উষ্কখুষ্ক চুল,
বসিয়া আছো নিরবে তুমি যেন নাহি কোনো কুল।
কি অপরাধ, কেনো দুর্দশা, এ কি ভাগ্যের পরিহাস,
দরিদ্রতা, অসুস্থতা, আজিবনের বনবাস।
কর্মফল নয়, আমি জানি এ সমাজের দেওয়া ক্ষত,
তুমি শিক্ষা থেকে শতকোষ দূরে বাবুদের বাগানে কর্মরত।
দলিত দলিত বলে চিৎকার দেশজুড়ে আন্দোলন,
মুখোশধারী সমাজবাদীদের লোকদেখানো আস্ফালন।
কেউ শোনে না তোমার কান্না, কেউ দেয় না দাম,
সমাজবাদীরা বুজরুক সব, মিথ্যে সব জয়গান।
চোখের কোনের জল তোমার সঞ্চিত ব্রহ্ম কমন্ডুলে,
বুকের আগুন জ্বলছে রুদ্র ত্রিনয়নে।
সেই দিনের অপেক্ষায় নয় আমি তবু মনে আমার বিশ্বাস,
চোখের জলের অভিশাপে সব হবে ছারখার।
সেদিন কোথায় যাবে সমাজবাদী যেদিন হিসেব নিকেশ হবে,
যেদিন রুদ্র তাকাবেন আবার ত্রিনয়ন মেলে।।
                          "শুভম"
                         "রোমন্থন"
ঘোর কেটে গেছে তবুও ভোর আসেনি জিবনে,
তুমি রয়েছো সাথে তবু দিশাহারা প্রেম প্লাবনে।
প্রিন্সেপ ঘাটে নৌকার দুলুনিতে বলেছিলে কিছু কথা খাটি,
পায়ে ব্যাথা টনটন, তবুও মানেনা মন হাত ধরে আরো দুপা হাটি।
পার্ক স্ট্রীট এ বিরিয়ানি, শ্যামবাজারের কষা মাংস,
ব্যায়ন্ডের রুফটপে রাত্রির কলকাতা হয়েছিলাম দুজনেই দেখে মুগ্ধ।
মানিস্কয়ার নয় সিটি সেন্টার নয় ফেভারিট এক্রোপলিস,
সবশেষে পেটপুরে ভজহরি মান্নার দুর্দান্ত সেদ্ধ ইলিশ।
আজই আবার পড়ছে মনে, গতবছর আজকেরই দিনে,
বৃষ্টি ভিজে হাত আমার আঁকড়ে ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে।
আজ এসব স্বপ্নমাত্র, তোমার স্মৃতিই সম্বল,
তাই মাঝেমাঝে বৃষ্টি পড়লেই করি স্মৃতি রোমন্থন।
                            "শুভম"

                          "তফাৎ"
শতশত ঘিয়ের বাতি জ্বলছে দেখো মন্দিরে,
এদিকে মন্টু কাজে ছুটেছে নুন মেখে ভাত খেয়ে।
আট বছরে বাবা হারিয়ে মন্টু সারাদিন কাজ করে,
সকালবেলা ডাস্টবিনে মন্টু কুকুরের সাথে লড়াই করে,
দুপুরবেলা মন্টু অলিগলি ঘুরে বেড়ায়,
নালার ধারে জঞ্জালে প্লাস্টিকের বোতল কুড়ায়।
বিকেল হয়েছে তাই ত মন্টু কল থেকে জল খেলো,
কেউ বোঝে না মন্টুর খিদে পেলো না তেষ্টা পেলো।
কাঠ কুড়িয়ে বিকেল বেলা অবশেষে ঘরে ফেরা,
দুবছরের ছোট্ট বোন চোখ টলটল মাথা নেড়া।
রোজের মত ছোট্ট বোনটি ভাইকে দেখে ছুটে আসে,
জড়িয়ে ধরে দাদাকে ঘেমো গালে নাকটি ঘষে।
বোন কিন্তু কোনদিন করেনি কো বায়না,
দাদার কোলে ঘুরতে চায় চকলেট ওর চাইনা।
মন্টুর মা কাজ করে শহরের বড়লোকের বাড়ি,
সেখানে কিন্তু চকলেট না পেলে ভাই বোনের আড়ি।
ভালোবাসা নয় চাহিদা এখানে প্রেমের অভিনয়,
খুশির নামে এখানে শুধু অর্থের অপচয়।
পেটে জ্বালা নিয়েও স্মিত হাসি মন্টুদের মুখে,
তোমার আমার থেকেও নির্মল হৃদয় আছে ওদের বুকে।।
                          "শুভম"
                          "তোমার জন্য"
আমার ভাবনা গুলো দায় সেরেছে, তোমার জন্য সখী,
আমার এম্বিশন ডিগবাজি খেলো তার জন্য তুমি দায়ী।
আমি সব ছেড়েছি আত্মহারা তোমার জন্য সখী,
আমি নিমেষে নিজেকে বদলে ফেলেছি দেখে নীলাভ আখি।
আমি বিমুখ হয়েছি সমাজ থেকে শুধু তোমার জন্য সখী,
আমি ক্যানভাসে নয় হৃদয় মাঝে তোমার ছবি আকি।
কিন্তু বিবেক করে দংশন মাঝে মাঝে মাঝ রাতে,
ঘুম ভাঙ্গে হয় ভীষণ কষ্ট সারাটা বুকের মাঝে।
তাই ত হয়নি তোমার সাথে পথচলা রইলো বাকি,
আমাকে আমার মায়ের প্রয়োজন তোমার থেকে অনেক বেশি।
                            "শুভম"

Wednesday, June 27, 2018

                     "নীরব আর্তনাদ"
কান্নাভেজা কন্ঠস্বরে তোমার আমার আকুল প্রার্থনা,
বুকের ভেতর মোচড় দিচ্ছে সব হারানোর যন্ত্রণা।
কিসের বলি কোলের শিশু কেন এই বঞ্চনা।
দখল করবে বনভুমি তাই ছিল পরিকল্পনা।
সবার মুখে ভয়ের ছায়া জিবনে ঘোর অমানিশা,
কে করবে প্রতিহত যদি নরপিচাশ দেয় আবার হানা।
শান্তনা নয় নিরাপত্তা চাই বনবাসীদের চাই মর্যাদা,
এই আশা নিয়ে বসে আছে হয়তো বোন গিনিরুমের আত্মাটা।
                              "শুভম"

"বিজ্ঞ"
জ্ঞান ঝাড়েন ফেসবুকেতে মহা বিজ্ঞ মহাশয়,
তার সমীক্ষায় নেতাদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়।
নিজের বুথের নেইকো জ্ঞান কাজেও লবডংকা,
নেতার পিছে ঘুর ঘুর শুধু, মিথ্যে কথার বাজায় কেবল ডংকা।
ছাত্রাবস্থায় সংগঠনের দায়িত্ব যার ঘাড়ে,
সবার পাশে দাঁড়ায় সবার দিপদে ঝাপিয়ে পড়ে।
তার নাকি ভুল ধরেন সেই চাটুকারি বিজ্ঞ,
তিনিই শুধু সবজান্তা বাকীরা সব অজ্ঞ।
আমরা কিন্তু সব ছেড়েছি সংগঠনের জন্য,
এদিকে আমার বিজ্ঞ বাবুর ঘর কিন্তু পরিপুর্ণ।
                            "শুভম"

                            "কালাচাঁদ"
 শৈশবেতে মায়ের কোলে তোমার ছোয়া পেয়েছিলাম,
তোমার অঙ্গে আলোর জোয়াড় অবাক হয়ে দেখেছিলাম।
শুনেছিলাম কালাচাঁদের অধরে শোভে মোহনবাশী,
তোমার পানে তাকিয়ে দেখি বাঁশীর বদলে মধুর হাসি।
আমার কালাচাঁদের রুপ অপরূপ গলায় শোভে বৈজয়ন্তী মালা,
তোমার রুপের সেই গরিমা কন্ঠে তোমার তুলসী মালা।
রোগ ব্যাধি যায় সেরে তোমার কৃপা আশিষে,
সব দুখ হয় যে নাশ অমৃতসম মহাপ্রসাদে।
পথ হারিয়ে হাটছিলাম ক্লান্ত দেহে আমি,
আলোর ধারা উঠলো ফুটে পথ খুজে পেলাম শুনে তোমার বানী।
আমার মতো কতো দিশাহারা পেয়েছে তোমার আশিষধারা,
প্রভু তোমার চরনতলে থাকবো আমি ধুলি হয়ে,
আমার হৃদয়ে মাঝে থাকবে প্রভু এই আবদার প্রতি জনমে।
                            "শুভম"